অসহযোগ আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ঢাকা আইনজীবী সমিতি দখলে নিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার তাঁরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন দপ্তর দখল করেন।
সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতি ছিল। বিদেশগামী যাত্রী, রোগী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের বড় বড় কয়েকটি মিছিল এসব চেকপোস্ট উপেক্ষা করে উত্তরার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের সময় জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গতকাল রোববার বিভিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, বেসরকারি ব্যাংক, সরকারি অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রত
‘বিয়ানে খইছে, মাই জুম্মাত জাইমু। জুম্মা থাকি আইয়া মাতমুনে (কথা বলা) তুমার লগে। আইচ্ছা। আছরের বাদে শুনি আমার বাইচ্ছা শেষ। ও আল্লাহরেবা, ও বন্দুক দি মারছে রেবা। আমার সব ছোট ছেলে রেবা। ও আল্লাহ।’ বিলাপ করতে করতে এভাবেই বলছিলেন নিহত মোস্তাক আহমদের মা ষাটোর্ধ্ব মায়া বেগম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। কোনোভাবে
শিক্ষার্থীদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনেই রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এর মধ্যে নাশকতাকারীদের সন্ত্রাসী-জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ভোলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মো. জসিম (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি ছাতা মেরামতকারী। আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে ভোলা পৌরসভা রোডের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটসংলগ্ন এলাকায় তাঁর দোকান বন্ধ করাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মারা যান। ভোলা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাউদ্দিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচির সমর্থনে আজ রোববার সিলেটের গোলাপগঞ্জে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে বিজিবি, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আন্দোলনকারীদের চারজন। আজ রোববার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নড়াইলে অসহযোগ আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও এক কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন। আন্দোলনকারীরা পুলিশের পিকআপভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ আন্দোলনে রংপুরে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম মাসুম (৩০)। তিনিও মহানগর যুবলীগের কর্মী। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা এই সরকারকে মানি না। এখন থেকে দেশের নেতৃত্ব দেবে ছাত্র-জনতা। ছাত্র-জনতার ঘোষণাই চূড়ান্ত ঘোষণা। গতকালও দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণহত্যা হয়েছে, আমার ভাইয়েরা শহীদ হয়েছে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়া শহর। বিক্ষোভকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের চেয়ার ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ট্রাফিক অফিস, জেলা পরিষদ চত্বরে ভাঙচুর ও মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছে আন্দোলনক
টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের সঙ্গে অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ঘটনার সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
বগুড়ায় অসহযোগ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শহরের সাতমাথা এলাকা। সংঘর্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
বহিরাগতদের হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের (সিএমএম) বিচারিক কার্যক্রম। আজ রোববার দুপুরে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বহিরাগতরা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে হামলা চালায়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে হামলার করা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগের অংশ হিসেবে আজ রোববার নওগাঁয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় সরকারের পদত্যাগের দাবি করে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে নওগাঁর রাজপথ।